ধর্ষণ, দিনে দিনে যেন বেড়েই চলেছে এর ভয়াবহতা। কোন ভাবেই যেন এর কোন নিস্পত্তি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং মেয়েরা অনেকটাই যেন অসহায় এই নিকৃষ্ট কাজের কাছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কেওই এখন আর সুরক্ষিত না।
একটা মাথা ব্যথার ওষুধ দেয়- সারাদেশে ধর্ষনের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিজের মেয়েও। ধর্ষণকে অপরাধই মনে হচ্ছে না লম্পটদের কাছে । লম্পটদের লালসার শিকার হচ্ছে দেশের হাজারো নারীও শিশু । এবার গাজীপুরে ধর্ষনের শিকার হলেন ৫ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। জানা গেছে
গাজীপুর মহানগরীর টেকনগপাড়া এলাকায় গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণ করেছে তিনজন মাদকাসক্ত। এ ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি গত সোমবার রাতে হলেও ওই তিন জনের নামে মামলা হয়েছে বুধবার দুপুরে।ওই কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী রিকশাচালান। তার মেয়ে স্থানীয় স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে।
সোমবার রাতে তার মাথা ব্যথা শুরু হলে বড় মেয়ের জামাতাকে ওষুধ আনতে পাঠান। পথে স্থানীয় হাবিব (৩৫), রবিউল (৩০) ও সজিবের (৩২) সঙ্গে তার জামাতার দেখা হলে তারা জানতে চায় কোথায় যাচ্ছেন? ওই কিশোরীর দুলাভাই তাদের জানান, শ্যালিকার মাথা ব্যথার ওষুধ কিনতে।
এসময় তারা জানায়, তাদের কাছে ওষুধ আছে। পরে তাদের দেয়া ওষুধ খাওয়ার পর অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ওই কিশোরী। পরে রাত তিনটার দিকে ওই তিন যুবক ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে প্রবেশ করে কিশোরীকে বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে চিৎকার দিলে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় ওরা। মঙ্গলবার ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতার মা আরও বলেন, ধর্ষকরা মাদকাসক্ত। ঘটনার পর থেকে তারা বিষয়টি প্রকাশ না করতে এবং পুলিশকে না জানাতে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বুধবার জয়দেবপুর থানায় ওই তিন লম্পটকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এ ঘটনার ব্যাপারে জয়দেবপুর থানা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযা চালাচ্ছে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।